২৩ জুলাই বসছে বন্টু-মিন্টু’র আড্ডা!

আপনারা কি আমাদের চেহরাটা দেখতে চান কিংবা নিজের চেহারাটা দেখাতে চান? অথবা, উবুন্টু বা লিনাক্স মিন্টের প্রচার করতে গিয়ে নিজে কি কি নাকানি-চুবানি খেয়েছেন কিংনা কার কার কাছে দাবড়ানি খেয়েছেন সেইসব মনের দুঃখের কথা বলার মানুষ পাচ্ছেন না? অথবা এইসব উবুন্টু আর লিনাক্স মিন্টু ‘অ্যাজাইরা প্যাঁকপ্যাঁক’ শুনতে শুনতে আপনি চরম বিরক্ত? বহুদিন ধরে ভাবছেন ‘সামনে পাইলে এক ঝাড়িতে লিনাক্সের ভুত ভাগাইয়া দিতাম!’, কিন্তু ভুত ভাগানোর লোকগুলোকে সামনে পাচ্ছেন না? কিংবা ‘হুমম, এরা যে এতো নাচতেছে, এগো স্বার্থটা কি?!’ ভেবে মাথা চুল্কে টাক ফেলার যোগাড় করে ফেলছেন? ব্যস! তাবড় প্রশ্ন আর সমস্যার সমাধান দিতে বাংলাদেশের সকল চিপাচাপা থেকে সব বন্টু আর মিন্টু-রা ঢাকায় জড় হচ্ছেন

আগামী ২৩ জুলাই, ২০১০!

তো আসুন, সবাই মিলে একটু আড্ডা মারি।

অনুষ্ঠানের বিস্তারিত:

অনুষ্ঠানের নাম: বন্টু-মিন্টুর আড্ডা
তারিখ: ২৩ জুলাই, ২০১০, শুক্রবার
সময়: বিকাল ৩:৩০ থেকে সন্ধ্যা ৭:৩০
স্থান: আরসি মজুমদার মিলনায়তন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ফেসবুক ইভেন্ট লিংক: ক্লিক করুন…

==
পড়তে পড়তেই কি একগাদা প্রশ্ন আসলে মনে? এই পোস্টটা তাহলে আপনার জন্য:

পাইকারি প্রশ্নের দরকারি উত্তর:

প্রশ্ন ১: ‘বল্টু’ জিনিসটা কি? আর ‘মিন্টু’-টাই বা কে?
উত্তর: শব্দটা ‘নাট-বল্টু’-র বল্টু নয়। ‘বন্টু’! আমরা উবুন্টু ব্যবহারকারীদের সহজ বাংলা নাম দিয়ে ফেলেছি ‘বন্টু’ আর লিনাক্স মিন্ট ব্যবহারকারীরা হল গিয়ে ‘মিন্টু’!

প্রশ্ন ২: আচ্ছা, বুঝলাম! তা আড্ডার জায়গাটা কোথায়?
উত্তর: জায়গা বড়ই সোজা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার অডিটোরিয়াম

প্রশ্ন ৩: হুমম, তা এত্তো লোক একসাথে একত্রিত হবার উদ্দেশ্যটা কি?
উত্তর: উদ্দেশ্য হইল দেখা-সাক্ষাৎ, গ্যাঁজাগ্যাঁজি, একসাথে বসে ফিলিম দেখা, হা-হা হি-হি এবং কেনাকাটি।

প্রশ্ন ৪: কেনাকাটি? হাটবাজার বসাইতেছেন নাকি?
উত্তর: এক পদের হাট-ই। এই হাটে পাবেন উবুন্টু আর মিন্টের লোগোওয়ালা টি-শার্ট। আরো পাবেন উবুন্টু আর লিনাক্স মিন্টের অতিরিক্ত সফটওয়্যারসহ (যেগুলো সাধারণত নেট থেকে নামাতে হয়) কাস্টোমাইজড ডিভিডি।

প্রশ্ন ৫: আচ্ছা, কেনাকাটি বুঝলাম। ‘ফিলিম দেখা’-র কাহিনী তো বুঝলাম না!
উত্তর: আড্ডার শুরুতেই আমরা সবাই মিলে একটা প্রামান্যচিত্র দেখব। নাম Revolution OS. এই প্রামান্যচিত্রে আছে OS (Open Source) এবং Free Software (Free as Freedom) এর মহারথীদের সাক্ষাৎকার। যা থেকে OS (Open Source) এবং Free Software আন্দোলনের পেছনের কারণ এবং দর্শন পানির মত বোঝা যাবে। জানা যাবে দুনিয়ার কিছু মানুষ কি স্বপ্নের কারণে পাগলের মত এইসব বনের মোষ দৌড়ে বেড়াচ্ছে।

প্রশ্ন ৬: তা তো বুঝলাম, কিন্তু আপনার ‘ফিলিম’-এর ভিতরে তো পাইরেসির গন্ধ পাই।
উত্তর: আমরা প্রথমে এটি কেনার চিন্তা করছিলাম। সেই প্রক্রিয়ায় ব্যর্থ হয়ে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম এর পরিচালক জে.টি.এস. মুর এর সাথে। আমাদের উদ্দেশ্য জেনে তিনি শর্ত সাপেক্ষে আমাদের এই মুভিটি দেখাবার (লিখিত) অনুমতি দিয়েছেন। তবে শর্ত একটাই, মুভির ফাইল কপি কিংবা পুনঃবিতরণ করা যাবে না।

প্রশ্ন ৭: ফিলিম কি ইংরেজি? আমি তো ইংরেজি বুঝি না!
উত্তর: ইতিমধ্যেই এই প্রামাণ্যচিত্রের বাংলা সাবটাইটেল তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে। ২৩ তারিখের মধ্যে কাজ শেষ করা গেলে বাংলা সাবটাইটেলসহই দেখা যাবে।

প্রশ্ন ৮: বাহ! বাহ!! তা আমি তো লিনাক্স ইউজ করি না। আমি কি আসতে পারব?
উত্তর: জ্বি, অবশ্যই পারবেন।

প্রশ্ন ৯: আমি তো ঢাকার বাইরে থাকি। আমি কি আসতে পারব?
উত্তর: আপনি দুনিয়ার যেই চিপাতেই থাকেন না কেন, আপনি আমন্ত্রিত।

প্রশ্ন ১০: আমি কি আমার সাথে আর কাউকে নিয়ে আসতে পারব?

উত্তর: জ্বি, আপনি যতজন খুশি নিয়ে আসতে পারবেন

প্রশ্ন ১১: কোন মেয়ের মনে যদি এরকম প্রশ্ন জাগে, “হুম আপনাদের বন্টু-মিন্টু’র মিটিং এ কি কোন আপু আসবেনা মনে হয়। আমি এসে কি করবো ?”

উত্তর: এর আগের প্রতিটি আড্ডায় এসেছিলো। আর এবার অনেকের আসার কথা। কারণ, এবারের মতো জাকজমকপূর্ণ এবং এতো জায়গা নিযে় আর কখনো হয়নি। সেই সাথে এবার স্পন্সর করছে একটি কোম্পানি প্রায় ২০হাজার টাকা দিযে়। কেউ না এলেও যে ঢাবি’র ছাত্রীরা আসবেন সেটি নিশ্চিত। কারণ, পাশের রোকেযা়/শামসুন্নাহার হলের ছাত্রীরা বা বুয়েটের ছাত্রীরা সুযোগটি মিস করবে বলে মনে করিনা। আর অনেকের বান্ধবীরাও সাথে আসবে আগেও যেমন এসেছে। সুতরাং চলে আসুন।

বি.দ্র

লেখাটি উন্মাতাল_তারুণ্য ভাইয়ের আমাদের প্রযুক্তির এই পোস্ট থেকে তুলে নেওয়া।

বন্টু-মিন্টু’র ব্যাবহৃত ব্যানারটি তৈরী করেছেন প্রিয় অভ্রনীল ভাই

আপনি আসছেন তো বন্টু-মিন্টুর আড্ডায়?