গত ২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে বন্টু-মিন্টু’র আড্ডা নামে বাংলাদেশে লিনা্ক্স ব্যবহারকারীদের এযাবৎ কালের সবচেয়ে বড় মেলা! অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন দেশের বিভিন্ন গণ্যমান্য মানুষজন! মানুষজনের অসীম আগ্রহ, নতুন কে জানার চেষ্টা, মুভি দেখার লোভ, উবুন্টু-মিন্টের টিশার্ট, ইউজার এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করার সুযোগ…সবকিছু মিলে এইরকম আকর্ষণীয় এক অনুষ্ঠানের সুযোগ কেউই মিস করতে চাইবে না!
আমিও করি নাই! কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল আমার পরীক্ষা! ঐ পরীক্ষার জন্যই পোস্টটা এত লেট করে লিখলাম এবং ঐ পরীক্ষার জন্যই টিব্রেকের পর ঐদিন চলে আসি!
পরীক্ষা চলছে এখনও…আজকে হাতে একটু টাইম আছে তাই লিখতে বসলাম…
সবার প্রথমেই বর্ণনা দিয়ে দিই জায়গাটার…অনুষ্ঠানটি হয়েছিল ঢাকা ইউনিভার্সিটির আরসি মজুমদার মিলনায়তনে! যাওয়ার পথে মধুর ক্যান্টিনের সামনেই ছিল বন্টু-মিন্টু’র একটি পোস্টার!!! দেখতে দারুন লাগছিল!
এই হল আরসি মজুমদার মিলনায়তন গেট! এখান থেকে প্রবেশ করেছি!
এখানে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে ছিল উন্মাতাল তারূণ্য ভাই! (সবাই আসলেই স্পেশান একটা হাসি দিচ্ছিল! চিনে বা না চিনে কোন ব্যাপার না! আমারেও চিনে নাই )
অফিসিয়ালভাবে আসলে এরপর রেজিস্ট্রেশন!
তারআগে চলেন দেখে নিই অন্দর মহলে এই সময় কি হইতাছে!
প্রজেক্টর লাগায়ে টেস্টিং-টুইস্টিং করতাছে লেনিনভাই সহ কয়েকজন! চলতে চলতে নষ্ট হইলে তো সমস্যা!
এরপর আসল রেজিস্ট্রেশন:
রেজিস্ট্রেশন বুথে ছিল আশাবাদী ভাই ও উনার বাগদত্তা! (টপ সিক্রেট…কাওরে কইবেন না )
রেজিস্ট্রেশনের অপর পাশেই রয়েছে গেন্জি বিক্রির দোকান! ধুমসে বিক্রি হইতাছে বন্টু-মিন্টুর গেন্জি!
(আমি পাইনাই! যাইতে যাইতে সাইজ সব শেষ! )
ভিতরে ঢোকার পর দেখি আস্তে আস্তে মানুষ আসা শুরু হয়েছে
জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচণা হতে যাচ্ছে….
জাতীয় সঙ্গীত শুনে রিং ভাই তো ফুটবল খেলার জোয়ারে মেতেছে
এর পর পরই চালু হল একটা বোরিং ডকুমেন্টারি…
কেউ ঘুমায় আর কেউ বিরক্ত হয়ে মোবাইলে ভিডিও দেখে…
আগে শুনছিলাম নাকি ওটার বাংলা সাব-টাইটেল হবে কিন্তু পরে দেখি না…এমনিতেই ইংরেজী কম বুঝি এরপরেও কত্ত ডং করে হেরা কথা কয়…তাই সাব টাইটেল পড়তেই পড়তেই জান শেষ…আমি পারি নাই ওখানে গিয়ে একটানে শেষ করে দিতে…
মুভি দেখার পর হাল্কা কথোপকথন চলল…
ভাষণ দিলেন শামীম ভাই, মুনির ভাই, সাইফ ভাই সহ কয়েকজন…
আর অনুষ্ঠান পরিচালনা করছিলেন উন্মাতাল তারূণ্য ভাই ও অয়ন ভাই
উন্মাতাল ভাইয়ের হিরো হিরো ভাই…হিরোইনের অভার! (জাস্ট জোকিং!)
পিছনে অয়ন ভাই মুখ লুকাচ্ছে লজ্জায়! কারণ? (কারণ কী? জাতির কাছে প্রশ্ন )
অনুষ্ঠানের মাঝেও একজন ল্যাপটপ নিয়ে খটর খটর করে যাচ্ছেনই! তিনি গৌতম দা! সচলায়তনে লাইভ ব্লগিং করছিলেন!
বাম থেকে: লেনিন ভাই, গৌতম দা এবং অন্য আরেকজন! (চিনি না)
শামীম ভাই
আপনি খুব মজার মানুষ কিন্তু আপনি প্যান্টের সাথে বেল্ট পরেন না ক্যন?
মুনির স্যার
উনি বলেছেন আরেকবার এরকম আয়োজন হবে! তবে ওটা হবে আরও বড় করে! কার্নিভাল টাইপ!
ছবি দেখা শেষ…চা-খাইতে যাই…
মানুষ লাইন বেন্ধে চলে যাচ্ছে চা খাইতে
টি স্টলের সামনে ছোট্ট একটা বাগান
এই চা খাওয়ার পর আমিও চলে এসেছি! ফলে এর পরের ঘটনা জানি না! বিভিন্নখান থেকে ছবি জোগাড় করে এইখানে দিলাম…কোন সিরিয়াল ঠিক থাকবে না এইখানে ঐ জন্য!
পরে ভাষণ দিয়েছেন
রনদীপম বসু (চিনি না), লেনিন ভাই (সেদিন পরিচয় হয়েছে), আরাফাত ভাই (সি এসএস মাস্টার,,,আমার সাথে পরিচয় ছিল আগে থেকেই)
রনদীপম বসু
লেনিন ভাই
মঞ্চে আরাফাত ভাই
সবাইকে অঙ্কুরের পক্ষ থেকে ডিভিডি দেওয়া হয়েছে তার প্রমাণ
অনুষ্ঠান চলে আসছে শেষের পথে…
সবাই যখন একসাথে মঞ্চে
সবাই একসাথে মিলে এই ছবির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের ইতি ঘটে…
ব্যক্তিগত অভিমত
অনুষ্ঠানটা খুবই সুন্দর হয়েছে। তবে কিছু ত্রুটি আমার চোখে পড়েছে!
এগুলো হইল:
১) রেভুল্যুশন ও এস
এর ফলে কিছুই মাথাতে ঢুকে নাই! তা ছাড়া উচ্চ শব্দের ফলে হালকা মাথাও ধরেছিল।
২) গেন্জি শেষ
গেন্জির মজুদ শেষ হইয়া গেল ক্যান? আমি কি কিনুম না নাকি?
৩) সবার সাথে সবার পরিচয় ঘটানো
অনেকে অনেককেই চেনে কিন্তু মুখ চেনে না…এই পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করার জন্য কোন ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ ছিল
৪) আর তেমন কোন ত্রুটি নাই
বিশেষ দ্রষ্টব্য
প্রত্যেকটা ছবির সাইজ লোডের সুবিধার্থে ছোট করে দেওয়া হয়েছে! প্রত্যেকটা ছবির ওয়াডথ ৫০০ পিক্সেল দেওয়া আছে। পূর্ণ মাপে দেখতে চাইলে একটু ওয়েট করা লাগবে। কয়েকদিনের মধ্যে প্রতিটি ছবিতে ক্লিক করলে ব্লগে বসেই পূর্ণরূপে দেখতে পাবেন। টাইমের অভাবের ফলে একটু ওয়েট করা লাগবে।
পোস্টটার কিছু লাইন এবং ছবি প্রজন্মের রাহাত ভাইয়ের বন্টু-মিন্টুর আড্ডা ২০১০ পোস্টটি থেকে নেওয়া। দুর্ভাগ্যবশত সূত্র এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভুল গিয়েছিলাম! (ঐ পরীক্ষা এবং সময়ের অভাবেই!) রাহাত ভাইকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এবং তাকে ধন্যবাদ সূত্র উল্লেক করার ব্যাপারটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য।
Add your first comment to this post