বর্তমান সময়ে সবচেয়ে ট্রেন্ডি টপিক সম্ভবত এই শোয়েব ও সানিয়ার বিয়ে…
ইন্ডিয়ান রিপোর্টারগুলোতে আরো এক ডিগ্রী সরেষ!
নানা রকম মুখরোচক সংবাদ দিয়ে সবাইকে মাতাচ্ছে ! 😀
যাই হোক…
(ক্লিক করে পূর্ণমাপে দেখুন)
আজকের ইত্তেফাকে যে সংবাদ দিয়েছে তাইই তুলে ধরছিঃ
সানিয়ার সাথে বিয়েতে আর বাধা নেই
০ ইত্তেফাক ডেস্ক
কলকাতার শাহী ইমামের ফতোয়ার পর পাকিস্তানের ক্রিকেট তারকা শোয়েব মালিকের সামনে আর কোনো পথ খোলা ছিল না। ভারতের টেনিস গ্ল্যামার গার্ল সানিয়া মির্জার সাথে বিয়ের ঘোষণা দেয়ার পর আয়েশা সিদ্দিকী নামের যে তরুণী নিজেকে শোয়েবের স্ত্রী দাবি করেছিলেন, গতকাল তিনি পাকিস্তানি ক্রিকেট তারকার কাছ থেকে স্ত্রীর মর্যাদা পেয়েছেন।
তবে, একই সাথে পেয়ে গেছেন তালাকও! সানিয়াকে বিয়ে করতে গেলে আয়েশাকে তালাক না দিলে তা আইনি বাধা সৃষ্টি করত। একারণেই এই ব্যবস্থা। আয়েশাকে তালাক দেয়ার পর সানিয়ার সঙ্গে শোয়েবের বিয়েতে আর বাধা থাকল না। আগামী ১৫ এপ্রিল বিয়ে হবে। খবর পিটিআই ও এএফপির।
গতকাল আয়েশা সিদ্দিকীকে শোয়েব আনুষ্ঠানিকভাবে ডিভোর্স দেয়ার পর এ বিয়ে সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। আয়েশার মা ফারিসা সিদ্দিকী হায়দরাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল বলেন, ‘তালাকনামায় স্বাক্ষর করা হয়ে গেছে এবং বিষয়টির সুরাহা হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, আমার মেয়ে ন্যায় বিচার পেয়েছে। শোয়েব বার বার এই বিয়ের কথা অস্বীকার করার কারণে আয়েশা মানসিকভাবে ভীষণ ভেঙ্গে পড়েছিল। সে ভারমুক্ত হতে পেরেছে এটাই আমার কাছে বড় আনন্দের। ফারিসা আরো জানান, বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তির পরামর্শে তিনি ও তার পরিবার এই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে রাজি হন। এ কারণেই শোয়েব সহজে তালাকনামায় স্বাক্ষর পেয়ে গেছেন।
তালাকনামার চুক্তি অনুযায়ী, শোয়েব তার সদ্য তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী আয়েশাকে ১৫ হাজার রুপি খোড়পোষ হিসেবে দেবেন। প্রতি মাসে ৫ হাজার করে মোট ৩ মাসে শোয়েব আয়েশাকে এই অর্থ দিয়ে যাবেন। একজন কাজী সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। আয়েশার আর কোনো দাবি নেই। তার পিতা শোয়েবের বিরুদ্ধে যে প্রতারণার মামলা করেছিলেন সেটাও প্রত্যাহার হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার শোয়েব মালিকের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেছিলেন কলকাতার টিপু সুলতান মসজিদের শাহী ইমাম মাওলানা বারকাতী। ফতোয়ায় তিনি বলেছিলেন, আয়েশা নামের যে মহিলা শোয়েবকে স্বামী বলে দাবি করছেন তার কষ্ট উপেক্ষার নয়। বিয়ের পরেই নিকাহ্নামায় স্বাক্ষর করতে হয়। শোয়েব যে যুক্তিই দেখান না কেন, তিনি নিকাহনামায় স্বাক্ষর করেছেন এটা সত্য। সুতরাং আয়েশার সঙ্গে শোয়েবের বিয়ে বৈধ। তিনি শোয়েবকে সামাজিকভাবে বয়কট করারও আহ্বান জানান।
সুতরাং আর বাঁধা নেই এই বিয়েতে…
বিয়ে হচ্ছে ১৫ তারিখেই !
কিন্তু বিয়ে কতদিন টিকে এইটিই দেখার বিষয় !
Discover more from আমার ঠিকানা...
Subscribe to get the latest posts sent to your email.
Add your first comment to this post