(ছবিসহ পোস্ট। লোড হতে দেরী হতে পারে। যেকোন ছবি পূর্ণমাপে দেখার জন্য ছবির উপর ক্লিক করুন।)
সবাইই জানেন… প্রিয় প্রজন্ম ফোরামের মিটাপ ছিল আজ ২৮ তারিখ। কিন্তু তা হলেও প্রজন্মের ৪র্থ জন্ম বার্ষিকী কিন্তু ছিল ২০ জানুয়ারি ২০১১! আজ হয়ে গেল সেই প্রতীক্ষিত পূণর্মিলনী! ঐ ঘটনারই রিভিউ লিখতে চেপে ধরেছেন সবাই! তাই লেখা শুরু করে দিয়েছি।
আজ ২৮ জানুয়ারি শুক্রবার ২০১১!
সকাল থেকেই একটু টেনশনে ছিলাম…কোডার ভাই বলছে ১০:৩০ টার মধ্যে রোল এক্সপ্রেস ক্যাফে (ক্যাফে ১১) এ উপস্থিত থাকতে হবে। সকাল উঠেই একটুখানি মুখে দিয়ে রওনা দিব…তার মধ্যেই ফোন…”এখনও রওনা দেও নাই? তাড়াতাড়ি আস!” এরপর সিএনজি নিয়েই গেলাম আগে কেক আনার জন্য।
কেক এর প্যাকেটটা দেখে তো ভয়ই পাইছি! বিশাল বড় কেক! তারউপর আবার ৪ ডবল তার প্যাকেট! কোনরকমে CNG তে তুলেই আবার দৌড় ক্যাফে ১১ এ!
ভাগ্য ভাল..জ্যাম ঠ্যাম ছিল না … ১০:৩০টার মধ্যেই পৌঁছাইছি। কেকটা নিয়ে একটা সোফার উপর বসাইয়া দিয়ে হাফ ছাইড়া বাঁচলাম!
অনুষ্ঠান শুরু
পৌঁছায়া দেখি মানুষজন তখনও ঠিকমত আসে নাই! রেজিস্ট্রেশন বেঞ্চে “প্রিন্স” নামে এক ভাই ছিল। উনাকে সবাই পেমেন্ট করে নিজ নিজ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। অনুষ্ঠান পুরোপুরিভাবে শুরু করতে ১১:১০ বেজে গেছে। ১১:১০ এ উন্মাতাল_তারুণ্য (শাবাব ভাই) Anchor হিসেবে আবর্তিত হলে সকল গুন্জন থেমে গিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
জাতীয় সংগীত
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সঙ্গীত প্লে করা হয় এবং দাঁড়িয়ে সবাই সম্মান জানায়।
পরিচিতি
জাতীয় সংগীতের পরেই শুরু হয় পরিচয় পর্ব। এতদিন অন্যান্য যেসব মিটাপগুলো হয় সেখানে একটি বড় সমস্যা হয় যে অনলাইনে সবাই পরিচিত হলেও মুখোমুখি দাঁড়ালে আর চেনা যায় না। সেই প্রবলেমটা এবার পুরোপুরি উবে গিয়েছে।
প্রত্যেকেই দাঁড়িয়ে তার বদনখানি ৩৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘুরিয়ে সবাইকে প্রদর্শন করেছেন এবং পরিচিতি দিয়েছেন।
যেমনঃ আমি অমুক, প্রজন্ম আইডিঃ তমুক এবং আইছি এইখান থেইকা!
পরিচিতি এর মধ্যেই বিভিন্ন হাসি, ঠাট্টা, তামাশা চলতে থাকে। নিজেরা নিজেরা পরিচিত হয়ে নেয় ফোরামিকরা।
কেক কাটা
এরপরের ইভেন্টই ছিল কেক কাটা! এই বিশাল কেকটা কাটা হয়েছিল।
কেক কাটা হয় সবাই মিলে। অবশ্য যারা কাটে নাই তারা “হ্যাপি বাড্ডে টু ইউ প্রজন্ম” এইটা গেয়েছে!
আড্ডা’র শুরু
কেক কাটার পর আড্ডার শুরু হয়। শাবাব ভাই এক এক জনকে ডেকে ডেকে বিভিন্ন কিদ্ভুত কিমাকার প্রশ্ন করে ভড়কে দেন! সাথে চলে হাসি, তামাশা, আড্ডা আর অবশ্যই কেক খাওয়া!
লাঞ্চ ব্রেক
আড্ডা দিতে দিতে কখন যে ঘড়ির কাটা পৌঁছে গেছে ১:১৫ তে! টেরই পাইনি! সবাই নামাজের বের হয়ে যান। কয়েকজন অবশ্য তখনও ভিতরে বসেই আড্ডা দিয়ে যাচ্ছেন!
লাঞ্চ
নামাজের পর যখন সবাই ফিরে আসে তখনই লাঞ্চ সার্ভ করা হয়। লাঞ্চের আইটেমে ছিল তন্দুরি চিকেন ও নান। খাবারটা জোসস ছিল!
কোল্ড ড্রিংক্স ও পানি
লাঞ্চ শেষ হতে না হতেই সবাইকে সার্ভ করা হয় পিওর মাম ওয়াটার এবং সফ্ট ড্রিংক্স! খেয়ে দেয়ে তো সবার চোখে ঘুম ঢুলু ঢুলু করতেছে! অবশ্য তখনও অনুষ্ঠানের বাকি অনেক!
ব্রেকের পর আবার…
ব্রেকের পর আবার মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। তবে এবার কিন্তু আড্ডা ছিল না..একটু সিরিয়াস বিষয়! সবারই হয়ত মনে আছে প্রজন্ম ফোরামের সেরা লেখা ২০১০ – ভোটিং টপিকসমূহ
নামে একটা টপিকে মোট ৬টি বিষয়ের উপর পোলিং চলছিল।
এগুলো হলঃ
রম্য বা বিনোদনমূলক সেরা মৌলিক লেখা – ২০১০
সেরা আলোকচিত্র সম্বলিত পোস্ট – ২০১০
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সেরা লেখা – ২০১০
জীবনের গল্প নিয়ে সেরা লেখা – ২০১০
সেরা সাহিত্য বিষয়ক লেখা – ২০১০
সেরা প্রাজন্মিক (ফোরামিক) – ২০১০
এই বিষয়গুলোর ফলাফল প্রকাশ করেন আমাদের শিপলু ভাই। ফলাফল হল এরকমঃ
১) রম্য বা বিনোদনমূলক সেরা লেখা হয়েছেঃ ডিবিটি রাইডারে সমস্যা – mcctuhin
২) সেরা আলোকচিত্র সম্বলিত পোস্টঃ টাঙ্গুয়ার হাওরে ভ্রমণের ছবি – হাঙ্গরিকোডার
৩) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সেরা লেখাঃ AmiBroker DSE, CSE ইমপোর্ট টুল – invarbrass
৪) জীবনের গল্প নিয়ে সেরা লেখাঃ নিজেই যখন আম্মু! – মুন
৫) গল্প, প্রবন্ধ, কবিতা বা ছড়া বিভাগের সেরা লেখাঃ নারী স্বাধীনতা, আমাদের পরিবার, পুরুষদের ব্যর্থতা এবং কিছু কথা – prince374
৬) এবং সেই বিখ্যাত সেরা প্রাজন্মিক (ফোরামিক) – ২০১০
হয়েছেন প্রিয় invarbrass ভাই!
(আমার ভোটটাও উনাকেই দিয়েছিলুম! :P)
ইনভারব্রাস ভাইকে আবারও অভিনন্দন!
কুইক কুইজ
এরপর তিনটা প্রশ্ন করা হয় ইন্সট্যান্ট কুইজ হিসেবে। যারা পেরেছিল তারা পেয়েছেন পুরষ্কার!
টেক সেশন
এরপরের সেশনটা ছিল ট্রাবলশ্যুটিং টাইপ। কারও টেকি সমস্যা থাকলে তা তারা শেয়ার করেছেন এবং তাৎক্ষণিকই উত্তর পেয়েছেন কোন না কোনজনের কাছ থেকে।
অবশেষে বিদায়
প্রজন্ম পিতা হাঙ্গরিকোডার ভাই অবশেষে একটা দারুণ বক্তব্য দিয়ে অনুষ্ঠানের ইতি টানেন। কথাগুলো সত্যিই দারুণ ছিল।
ফটো
রোল এক্সপ্রেস ক্যাফে’র গেট
রোল এক্সপ্রেস ক্যাফের এই গেটটা হল প্রবেশ পথ!
গেট দিয়ে প্রবেশের পরই রেজিস্ট্রেশন লিস্টে নিজের লিস্টের পাশে সাইন করে পেমেন্ট করা হচ্ছিল 🙂
আসতে শুরু করেছেন মানুষজন
কয়েকজন মেয়েরাও এসেছেন প্রজন্ম মিটাপে 🙂
সবাই নিজ নিজ আসন গ্রহণ করছেন
ব্যানার লাগাচ্ছেন কোডার ভাই 🙂
ব্যনার লাগানো শেষ। 😀
চলছে পরিচিতি পর্ব …
ফটোগ্রাফাররা ছবি তুলেই যাচ্ছেন…
বক্স থেকে প্রজন্ম কেক টি খোলা হচ্ছে 😀
প্রজন্মের ৭ কেজি ওজনের yummy চকলেট কেক 😀
কেক কাটছেন সবাই …
কেক ডিস্ট্রিবিউশনে ব্যস্ত আসাদ ভাই (স্বপ্নবাজ ভাই)
তারুণ্য ভাইয়ের কাঠগড়ায় মাসুদ ভাই (অচেনাকেউ ভাই)
বক্তৃতা ঝাড়ছেন শাবাব ভাই… মাইক পাইলে তো আর কথায় নাই…টানা ৭-৮ দিন একনাগাড়ে কথা চালাইতে পারবে উনি 😛
স্বপ্নবাজ ভাইয়ের প্রজন্মে আগমণ, প্রাপ্তি এবং অন্যান্য …
প্রজন্ম এডমিন সুমন ভাই বলছেন তার কথা …
কোডার ভাই প্রাইজ দিচ্ছেন না কিন্তু! সেরা ফটোগ্রাফার হিসেবে পুরষ্কার নিচ্ছেন 😛
ফোরামের অন্যতম সিনিয়র সদস্য তপু ভাইয়ের কাছ থেকে বেস্ট কন্ট্রিবিউটরের পুরষ্কার নিচ্ছেন তারেক ভাই। 🙂
ইন্সট্যান্ট কুইজের বিজয়ীতা…
ইন্সট্যান্ট কুইজের বিজয়ী…
ফোরাম পিতার আপনকথা চলছে…
প্রজন্মের এডু/মডু প্যানেল
বাম থেকেঃ কোডার ভাই, শিপলু ভাই, সুমন ভাই এবং টেকনিক্যাল এডমিন নামান্তরে এডমিন তারেক ভাই। 🙂
কন্ট্রিবিউটরস ও এডু মডু প্যানেল একসাথে…
আপাতত এইই…
আমার কাছে যা ছবি ছিল সব দিয়ে দিলাম …
আশা করি সবার ভাল লাগবে।
Discover more from আমার ঠিকানা...
Subscribe to get the latest posts sent to your email.
Add your first comment to this post