আনন্দ কমপিউটার্স
বাংলাদেশে বাংলা কমপিউটিংয়ের অগ্রগামী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আনন্দ কমপিউর্টাস সবার পরিচিত। কমপিউটারে বাংলা টাইপিং করার মানেই বিজয় ইনস্টল করা থাকতে হবে বলে অনেকের ধারণা। আমাদের দেশের বেশির ভাগ লোকই জানেন না, বিজয় ছাড়া অন্য কোন বাংলা টাইপিং সফটওয়্যার রয়েছে। এ থেকেই বোঝা যায় এই প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপক প্রচার ও প্রসারের ব্যাপারটি। এই প্রতিষ্ঠানের মূলে রয়েছেন বর্তমান বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির সভাপতি মোস্তফা জববার। ১৯৮৪ সালে এই প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। বিজয় নামের বাংলা কীর্বোড লে-আউট এই প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় আবিষ্কার। বিজয় লে-আউট দিয়ে আমাদের দেশের বেশির ভাগ বাংলা টাইপিং কাজ সম্পন্ন হয়ে থাকে। বিজয়ের অন্যতম ফন্ট হচ্ছে সুতন্নী। বাংলা প্রকাশনার কাজে এই ফন্ট বেশি ব্যবহার হয় বলে আমাদের দেশের বেশির ভাগ বই-পুস্তক ও নথিপত্রে রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের সংস্পর্শ। ডিজাইনারদের মতে এই ফন্টের বেশির ভাগ অফিস আদালতেও বিজয়ের ব্যাপক ব্যবহার লক্ষণীয়। আমাদের দেশের বাংলা টাইপিস্টদের বেশির ভাগই বিজয় কীবোর্ড লে-আউটে পারদর্শী। বিজয়ের নতুন বের করা অনেকগুলো সংস্করণ রয়েছে তার মধ্য উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে-
০১. বিজয় বায়ান্ন ২০০৯ :সবচেয়ে কম দামী অথচ সব কাজ করার উপযুক্ত বাংলা লেখার সফটওয়্যার হলো বিজয় বায়ান্ন ২০০৯। এতে আসকি ও ইউনিকোড উভয় পদ্ধতিতে কাজ করা যায়। সব স্বাভাবিক ফন্টগুলো এতে রয়েছে। এতে শুধু বিজয় কীবোর্ডে কাজ করা যায়। এটি উইন্ডোজ এক্সপিতে কাজ করে, উইন্ডোজ ভিসতায় কাজ করে না।
০২. বিজয় বায়ান্ন প্রো : এই সফটওয়্যারটি বিজয় বায়ান্নর সব সুবিধাসম্বলিত। তবে এতে কিছু বাড়তি সুবিধা রয়েছে। যেমন এর মাঝে বিজয় ছাড়াও মুনীর ও ন্যাশনাল কীবোর্ড রয়েছে। এতে আরও আছে অভিধান।
০৩. বিজয় একুশে ২০০৮ : বিজয়-এর এই সংস্করণটি উইন্ডোজ এক্সপি এবং উইন্ডোজ ভিসতা (৩২ বিট) উভয় সংস্করণেই কাজ করে। এতে রয়েছে সর্বোচ্চ পরিমাণ ফন্ট। আরও আছে অন্যান্য বাংলা সফটওয়্যার থেকে কনভার্ট করার সুবিধা। এতে রয়েছে বিজয় ছাড়াও মুনীর ও ন্যাশনাল কীবোর্ড। অভিধানও আছে এতে।
এবার বিজয় একুশে ২০০৮-এর বদলে বাজারে আসছে বিজয় একুশে ২০১০। নতুন সংস্করণটি উইন্ডোজ ভিসতা ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেমে কাজ করবে।
এই নতুন ভার্সনে সব ধরনের সুবিধা দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এটি সম্ভবত মুক্তি পাবে এবারের বিজয় দিবসে অর্থাৎ ১৬ ই ডিসেম্বর।