প্রায় পনের বছর আগে মার্ক এ্যানড্রিস্সেন নেটস্কেপ ইন্টারনেট ব্রাউজার ডেভেলপ করেছিলেন। তখন কয়েক লক্ষ মানুষ এই ইন্টারনেট ব্রাউজারের সঙ্গে পরিচিত ছিল। ১৯৯৬ সাল থেকে মার্ক এ্যানড্রিস্সেনের নেটস্কেপ ব্রাউজার ইন্টারনেট ব্রাউজার জগতে শাসকের ভ‚মিকায় ছিল এবং মাইক্রোসফটের ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার আসার পূর্ব পর্যন্ত তা বলবৎ ছিল। দ্রুত সাফল্যের পরেও নেটস্কেপ মাইক্রোসফটের ব্রাউজারের নিকট পরাজিত হয়েছিল। মি. এ্যানড্রিস্সেন আবার নেটস্কেপ শুরু করতে চান। সম্প্রতি সিলিকন ভ্যালির খ্যতিমান অর্থনৈতিক কর্তা মি. এ্যানড্রিসসেন আবার নতুন করে শুরু করবেন নতুন ব্রাউজার, যা রক মিল্ট নামে পরিচিত হবে। তিনি বলেন, নতুন ব্রাউজারটি অন্যান্য ব্রাউজারের চেয়ে ভিন্ন প্রকৃতির হবে এবং ওয়েব দুনিয়ায় বিপ্লব সাধন করবে।
বর্তমানে ব্রাউজারগুলো বিশাল এক ব্যবসায়িক মডেলে পরিণত হয়েছে। রক মিল্ট এর কো-ফাউন্ডার হচ্ছেন এরিক ভিসরিয়া এবং টিম হাউস তারা দু’জনই অ্যাপসওয়্যারের সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা। নেটস্কেপ’কে পরাজিত করার পর মাইক্রোসফট ব্রাউজার মার্কেটের প্রায় ৯০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে। ২০০৪ সালে নতুন ইন্টারনেট ব্রাউজার মজিলা ফায়ারফক্স তাদের কার্যক্রম শুরু করে ব্রাউজারের ২৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মাইক্রোসফটের সূচক নেমে দাঁড়ায় ৬৮ ভাগে। মি. ভিসরিয়া বলেন, এই ব্রাউজার ফেসবুকের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে। ফেসবুকের আইডি ব্যবহার করে যেকেউ রক মিল্ট-এ লগ করতে পারবে। এই নতুন ব্রাউজারের মাধ্যমে ফেসবুকের আপডেটসহ ব্রাউজারের অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যাবে। কিন্তু রক মিল্ট তাৎÿণিকভাবে ফেসবুকের সাথে কাজ করবে না। একজন ফেসবুকের কর্মকর্তা বলেন, আমরা এখনও রক মিল্টের কার্যক্রম এবং তাদের সেবা সম্পর্কে অবগত নই। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ইয়োফি বলেন, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য এই ব্রাউজার রক মিল্টের একটি ভাল ব্যবসায়িক কৌশল হতে পারে।
নতুন এই ব্রাউজার আইসা আবার কি না কি করে… ফেসবুকরে টার্গেট করছে.. কিছু একটা তো করবেই!