[বি.দ্র. অনেক ছবিসহ পোস্ট। লোড হতে দেরী হবে।]
গত ৪ ডিসেম্বর রাপা প্লাজার ৪র্থ তলার এইচএফসি (HFC); রোড – ২৭ (পুরনো), ১৬ (নতুন); ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় হয়ে গেল একদল লিনাক্স ইউজারদেন মিলনমেলা। এই অনুষ্ঠানটির সার্বিক আয়োজনে ছিল সবার প্রিয় Bangladesh Linux User Alliance (BLUA)
যেহেতু আমি নিজে একজন লিনাক্স ইউজার, স্বভাবতই আমি যাব এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যাওয়াটা সহজ ছিল না। প্রি-রেজিস্ট্রেশন করে জয়েন করি উবুন্টু-ফেডোরা রিলিজ পার্টিতে।
সত্যি অনুষ্ঠানটা ছিল দারুণ। সবার সাথে আলাপ, লিনাক্স বিষয়ক টিপ্স, কে কোন ডিস্ট্রো ইউজ করে, কোন সফ্ট ইউজ করে, কেন করে এসব নিয়ে মেতে ছিলাম আমরা সবাই! কেমন করে যে ঘড়ির কাটা তিনটা থেকে সাড়ে পাঁচটায় টোকা দিয়েছে টেরই পাই নি!
শুরুর গল্প
আমি প্রথম থেকেই এক্সাইটেড ছিলাম। এত জ্ঞানী-গুনী মানুষের সামনে যাব কখন কি বলে ফেলি…মানুষজন গরু মনে করে কি না তাই নিয়ে টেনশনে ছিলাম! । তারপরও তিনটার পার্টিতে হাজির হয়েছিলাম তিনটা পনেরতে। যেয়েই রেজিস্ট্রেশন। রাসেল ভাইয়ের বাড়িয়ে দেওয়া কাগজে নিজের নাম ও সই করে রেজিস্ট্রেশন করে নিই আরও আরেকবার। রাসেল ভাইয়ের পর দেখা হয় আমাদের প্রিয় লিনাক্স গুরু আশাবাদী (শাহরিয়ার) ভাইয়ের সাথে। তিনি তখন তার বাগদত্তা‘র সাথে চ্যাটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন।
পরিচিতি
গিয়েছি আড্ডা দিতে। ইউজার এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করতে। কিন্তু যেয়ে আমি কিছুতেই নিজের খোলস থেকে বের হতে পারছিলাম না। সবাইকেই অনলাইনে চিনি। কিন্তু অনেককেই অরজিনালি চিনি না। ফলে কাকে কি বলব বুঝতে পারছি না। কিন্তু কিছুক্ষণ বসে থাকার পর নিজেই নিজের পরিচয় দিয়ে সবার সাথে পরিচিত হয়ে নিলাম। (হ্যালো ভাইয়া…আমি সাইফ। উত্তরে: কোন সাইফ । তারপর বলতেই হল ‘সাইফ দি বস ৭’ )
আড্ডা’র শুরু
এরপর যা হওয়ার কথা তাইই হল। এতজন মানুষ সবাই লিনাক্স নিয়ে আলোচনা করছে। আমিও স্টার্ট করলাম। কোন সফ্টওয়্যার ইউজ করেন, কেন করেন, কোথায় পাওয়া যায়, কেন লিনাক্স ইউজ করব, লিনাক্সে এখনও কি কি সমস্যা, লিনাক্সের ভবিষ্যত, উইন্ডোজের সাথে লিনাক্সের পাল্লা, কিছুক্ষেত্রে উইন্ডোজ এখনও এগিয়ে…
এই তো হাবি জাবি হাবি জাবি…. তর্ক-বিতর্ক চলছেই! সাথে হাসি-ঠাট্টাও কম না! সব মিলিয়ে দারুণ একটা পরিবেশ।
দূর থেকে দেখলে মনে হবে হাজারো টেকি মানুষের মিলনমেলা।
খাওয়া দাওয়া
মিট আপের মূল উদ্দেশ্যই ছিল আড্ডা! তাই আড্ডাই ছিল সকল কিছুর কেন্দ্রবিন্দু। তাছাড়া টিশার্টের ব্যাপারে মানুষের আগ্রহও ছিল ব্যাপক… কিন্তু খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারটাও ছিল খুব মজার। চিকেন ফ্রাই, ফ্রেন্চ ফ্রাই আর কোক দিয়ে সবাইকে সার্ভ করা হয়! খুব এনজয় করেছে সবাই!
যাদের সাথে আড্ডা
অনেকের সাথেই আড্ডা হল।
যাদের সাথে আড্ডা হল তাদের মধ্যে কয়েকজনের থাম্বনেইল ছবি দিয়ে দিলাম। যাতে আপনাদের চিহ্নিত করতে সুবিধা হয়! (পালাবে কোথায়! )










কিছু ছবি …কিছু কথা
রেজিস্ট্রেশন টেবিলে রেজিস্ট্রেশন করছে যারা যারা আসছে সবাই!!!
আড্ডায় ব্যস্ত আশাবাদী ভাই ও উনার হবু বউ 😉
টেবিলে আড্ডায় ব্যস্ত সবাই! (টেবিলের একাংশ)
আরেকপাশ থেকে টেবিল।
আড্ডায় মত্ত সব্বাই!
রাসেল ভাইয়ের কাজ কাম নাই! পার্টি স্প্রে দিয়ে সবাইরে একাকার করে দিচ্ছে!
ফোরামের দুই এডমিন। রাসেল ভাই এবং এন্জেল ভাই।
দুই টেবিলই ফুল হয়ে গেছে ইতিমধ্যে! দুটেবিলেই চলছে জম্পেশ আড্ডা!!!
সব গুরুজনেরা আড্ডা মারছে! আমরা অফ যাই! P
উমম…. 🙂 চিকেন ফ্রাই, কোক, সসেজ, ফ্রেন্চ ফ্রাই!
দারুণ ভাবে চলছে খাওয়া দাওয়া!
খাওয়ার মধ্যেই এসে গেছে এমিগস ক্লথিং থেকে টিশার্টস! খুলছেন আশাবাদী শাহরিয়ার ভাই।
সাজানো হয়ে গিয়েছে টিশার্টস!
দেরীতে আসায় তখনও খাওয়ায় ব্যস্ত শামীম ভাই।
পার্টির মূল দুই নায়ক(রাসেল ভাই ও এন্জেল ভাই)…খাওয়ায় ব্যস্ত!
টিশার্ট কেনায় ব্যস্ত সবাই।
সবাই একসাথে শেষে কেক কাটার টেবিলে। সবাই পরিধান করেছি লিনাক্সের টিশার্ট
এন্জেল ভাইয়ের মুখভর্তি কেক!
আমার চোখে ত্রুটি
আমার চোখে দেখা ত্রুটি একটিই! সেটি হল যেহেতু সবাই অচেনা তাই সবার সাথে সবার পরিচয় করানোর একটি সিস্টেম থাকলে ভাল হত। অনেকেই হয়ত সেদিন এসেও অনেকের কাছে অপরিচিত থেকে গেছে! 🙁
আর একটা কাজ করলে ভাল হত…সেটি হল একটি গোল টেবিলে আলোচনায় বসলে। দুটো টেবিলে বিভক্ত হওয়ার ফলে একটেবিলের মানুষ অন্য টেবিলের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারে নি !
উপসংহার
দারুণ এক পার্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে অসাধারণ! BLUA কে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এরকম একটি পার্টির আয়োজন করার জন্য। আরো ধন্যবাদ জানাতে চাই অভ্রনীল ভাইকে। কারণ তার তৈরী টিশার্টের ডিজাইনটাও অসাধারণ হয়েছে।
Discover more from আমার ঠিকানা...
Subscribe to get the latest posts sent to your email.
Add your first comment to this post