প্রথমেই বলে রাখা দরকার উবুন্টুকে পরিবর্তন করা মানে উইন্ডোজের থীম দ্বারা পরিবর্তন নয়। উইন্ডোজেরটা সফ্টওয়্যার হিসাবে কাজ করে। ফলে ম্যাশিন স্লো হয়ে পড়ে এবং ও এসের স্ট্যাবিলিটি নষ্ট হয়। কিন্তু উবুন্টু কিংবা মিন্টের বেলায় এটি সত্য নয়। এতে পুরো রূপই পাল্টে ফেলা যায় এবং এতে ম্যাশিনের উপর কোন এক্সট্রা চাপ পড়ে না। ফলে সহজেই আপনি আপনার ওএসকে আপনি দিতে পারেন ম্যাকের মত পাঙ্খা রূপ!! যা দেখে আপনার বন্ধু কিংবা আশেপাশের মানুষের আক্কেল গুড়ুম হতে বেশী টাইম লাগবে না।
ম্যাক ফর লিন থীমটি ইন্সটল করুন
- এজন্য প্রথমেই এই লিংক থেকে মডিফাইড ম্যাক ফর লিন টি ডাউনলোড করুন। তারপর ইন্সটল করুন। (অরজিনাল ম্যাক ফর লিনটি আউটডেটেড হয়ে গেছে।)
- আপনার হোম ফোল্ডারে এক্সট্রাক্ট করুন।
- MacLin_Install_Mod ফোল্ডারটি খুলুন এবং Mac4Lin_Mod_installer.sh ফাইলটিতে ডাবল ক্লিক করুন।
- প্রম্পট মেনু থেকে Run in Terminal সিলেক্ট করুন।
- আপনার থীমকে চেন্জ করার প্রক্রিয়া টার্মিনালের মাধ্যমে শুরু হবে।
- আপনাকে জিজ্ঞাস করবে থীম ইন্সটলের জন্য আপনি কি রুট এক্সেস দিতে চান? এজন্য ওখানে “y” চাপুন।
- তারপর জিজ্ঞাস করবে বুটমেনুর জন্য কোনটি পছন্দ করেন।
- ওখানে 0 চাপুন।
এরপর যখন আপনি Type Any Key To Continue ম্যাসেজটা দেখবেন তারমানে আপনার ৮০% অংশ ম্যাক ও এস এক্স করা শেষ!
গ্নোম গ্লোবাল মেনু (Gnome Global Menu) কনফিগার
১) টার্মিনাল ওপেন করুন।
২) নীচের কমান্ডগুলো একেরপর এক টাইপ করুন
sudo add-apt-repository ppa:globalmenu-team
sudo apt-get update && sudo apt-get install gnome-globalmenu
৩) এবার আপনার প্যানেলের বামপাশে যা কিছু আছে তা সরিয়ে ফেলুন। এজন্য ডানমাউস ক্লিক করে রিমোভ ফ্রম প্যানেল সিলেক্ট করুন। তাহলেই হবে।
৪) টপ প্যানেলের বাম পাশে রাইট ক্লিক করুন “Main Menu” যুক্ত করুন এবং তারপাশে Gnome Global Menu Panel Applet যুক্ত করুন।
৫) যদি আপনি উপরের কাজগুলো সঠিকভাবে করেন তাহলে আপনার প্যানেল নিচের স্ক্রিনশটের মত হওয়ার কথা:
ম্যাকের মত ডক ইন্সটল
১) অনেকগুলো ডক এপ্লিকেশন রয়েছে। তবে এরমধ্যে এভান্ট ও কায়রো ডক সবাই প্রেফার করে। তবে আমি কায়রো ডকের পক্ষে। এর ইফেক্টগুলো এভান্টের চেয়ে জোসস। প্রায় ম্যাকের মতই।
২) কায়রো ডক ইন্সটলের জন্য টার্মিনালে এই কোডটা লিখুন:
sudo apt-get install cairo-dock
৩) কায়রো ডক শুরু করার আগে আপনি নীচের প্যানেলটি মুছে ফেলুন। এজন্য রাইট ক্লিক করে “Delete This Panel” Select করুন।
৪) কায়রো ডক Menu -> Accessories -> Cairo Dock ওপেন করুন।
৫) এটা স্টার্টাপে দেওয়ার জন্য System->Preferences->Sessions.->”Startup Programs” এ যান। এখানে নতুন এপ্লিকেশনের কমান্ড হিসেবে cairo-dock -o
লিখুন। (-o দ্বারা opengl সাপোর্টসহ ওপেন করলাম। OpenGL ছাড়া ওপেন করতে হলে -o লেখার দরকার নেই।)
৬) কাজ শেষ।
এক্সপো
কম্পিজ সেটিং থেকে এক্সপো এনাবল করুন।
এরপর Win+E চাপলেই এক্সপো চালু হবে।
ড্যাশবোর্ড
ড্যাশবোর্ডের জন্য স্ক্রিনলেটস এবং কম্পিজ উইজেট লেয়ার ব্যবহার করব।
১)স্ক্রিনলেটস ইন্সটলের জন্য টার্মিানালে রান করুন:
sudo apt-get install screenlets
আর উইজেট লেয়ারের জন্য (মিন্টে ডিফল্টলি থাকে। তাই মিন্টের ইউজারদের দরকার নেই।)
sudo apt-get install compiz-fusion-plugins-extra
২) কম্পিজ কনফিগ ম্যানেজার চালু করুন এবং উইজেট লেয়ার ফিচারটা চালু করুন।
৩) স্ক্রিনলেটস চালু করে যেসব উইজেট রাখতে চান তা চালু করুন। উইজেটের প্রপার্টিজে যেয়ে অপশন্স ট্যাবে যান। তারপর “Treat as widget” এ টিক দিন।
এরপর F9 চাপলেই আপনার উইজেটগুলো চলে আসবে।
ফন্ট:
ম্যাক ফর লিনের ফন্টস এ কিছু ফন্ট দেওয়া আছে। তা ইন্সটল করুন।
তারপর আপনার ফন্টমেনু থেকে ফন্ট এরকম করে দিন।
প্যানেলে এপল আইকন
স্ক্রিনশট:
সবকিছু ঠিকমত করতে পারলে আপনার উবুন্টু বা মিন্ট এরকম দেখাবে—
(পূর্ণরূপে দেখতে ক্লিক করুন)
11 replies on “আপনার উবুন্টু ল্যুসিড(১০.০৪) কে দিন স্নো লিওপার্ডের রূপ!”
হুমম এক্কেবারে ম্যাক এর মতো লাগছে।
কিন্তু এ পর্যন্ত লিনাক্সই তো ইনষ্টল করতে পারলাম না। এইটা কবে করুম। 🙁
কি করলা মিয়া!!! মিন্টটা ইন্সটল করে ফেলো! একবার মজা পাইলে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া উইন্ডোজে যাইতেই চাইবা না!
আর পুরো পোস্টটা কিন্তু মিন্টে বসে লেখা!
ধন্যবাদ, কিন্তু বানরের গলায় মুক্তর মালা দিয়ে লাভ কি?
ভাই …নিজের পরিচয় লুকিয়ে জানতে চাইলেন কেন…বুঝলাম না..।
যাই হোক…
উত্তর দিচ্ছি…
প্রথমেই বানর বলার কারণ কি বুঝলাম না।
হেন কাজ নেই যা উবুন্টুতে করা যায় না। তাও আবার ভাইরাস ফ্রি এবং মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম। চুরির দায় থেকে বাঁচতে এর চেয়ে ভাল উপায় আর নেই। আর উবুন্টুর সৌন্দর্য্য অনায়াসেই হার মানায় উইন্ডোজের এ্যারো কে।
মানুষ যেটাতে সুবিধা পাবে সেটাই ইউজ করবে। আমি উবুন্টুতে বেশী সুবিধা পাই তাই আমি বন্টু!
ইজি ম্যাটার।
কেন লিনাক্স ব্যবহার করা উইন্ডোজের থেকে বেশি যুক্তিযুক্ত –
১) ফ্রী।
২) ওপেন সোর্স বিধায় নতুন ভার্সন তাড়াতাড়ি আসে। ফলে প্রোগ্রামিংয়ে এরর কম থাকে।
৩) আকর্ষনীয় গ্রাফিক্স।
৪) প্রায় সবকিছুই বিল্ট ইন।
৫) ওয়েব ডেবেলপমেন্টের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল প্লাটফর্ম।
৬) ভাইরাস বা অন্যান্য সিক্যুরিটির ক্ষেত্রে কোন ঝামেলা নাই। যেটা কিনা উইন্ডোজে আছে। ফলে আলাদা এন্টিভাইরাসের কিনতে হয়। সেইখানে আছে আবার লাইসেন্স আর টাকার ঝামেলা।
৭) প্রোগ্রামিং জ্ঞান থাকলে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করা সম্ভব।
৮) বাংলা ভার্সন আছে।
৯) বাংলা লেখা এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে আলাদা সফটওয়্যারের প্রয়োজন নাই। ইউনিকোডের সর্বোচ্চ সাপোর্ট আছে।
১০) পার্সোনাল/বিজনেস/হোম/এন্টারটেইনমেন্ট সহ যেকোন ক্ষেত্রেই অনন্য।
এছাড়া এর উন্নয়নে নিয়োজিত আছে হাজার হাজার ডেভেলপার এবং প্রতিষ্ঠান। যারা পিসিকে এক্সিপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করে তাদের জন্য লিনাক্সই শেষ কথা।
এছাড়া বলা যায় উইন্ডোজের একচ্ছত্র আধিপত্যের দিন প্রায় শেষ লিনাক্সের কাছে।
আমি ব্যাক্তিগত ভাবে উবুন্তু এবং সেভেন দুইটাই ব্যবহার করি। আমি জানি উবুন্তু উইন্ডোজ থেকে কত এডভান্স। তবে গেমিং এর জন্য এখনো গেমারদের উইন্ডোজের উপর নির্ভরশীল হতে হয়।
সবশেষে ধন্যবাদ সাইফ হাসানকে এমন ভাল একটা আর্টিকেলের জন্য।
সাজ্জাদ ই তো সব বলে দিল!
আমার আর কি বলার আছে!
হেঃ হেঃ
লিনাক্স সম্পর্কে আরো অনেক কিছুই বলা যায়। আমারো ইচ্ছা করে লিনাক্সের একজন ডেভেলপার হইতে।
“আর উবুন্টুর সৌন্দর্য্য অনায়াসেই হার মানায় উইন্ডোজের এ্যারো কে।”
সরি! এই জিনিসটা মানতে পারলাম না ভাইজান। আজই হয়তো আমি উবুন্টু ইনষ্টল করব। কিন্তু উইন্ডোজ এ্যরো এর সৌন্দর্য্য এখনো সবার শীর্ষে।
দ্বিতীয়তেই আছে ম্যাক কিন্তু ম্যাক সবচেয়ে সুন্দর কারণ এর আইকন এবং গ্রাফিক্সগুলোর জন্য। কিন্তু উইন্ডোজ এ্যরো সবচেয়ে সুন্দর আমার কাছে।
আমার কাছে উবুন্টুর ডিফল্ট থীমটাই ভাল লাগে। আগে এভান্ট ব্যবহার করতাম। কায়রো ডক টা ব্যবহার করে দেখি পার্থক্য কি।
লিনাক্স মিন্টে ট্রাই করছিলাম, বারটা বেজে গেছে।
kernal sync & root cannot be mount এই টাইপের এরর দেখায় বুট আপের সময়।
বারটা বাজার কথা না। আপনার সমস্যা সম্ভবত অন্যখানে। ম্যাক ফর লিনের জন্য নয়!