সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে বহুল আলোচিত ছবি কাইটস!
হৃতিক ও বারবারা মোরি অভিনীত ছবিটি ছিল শুটিং থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু!
গতকাল বিকালে দেখা শেষ করলাম কাইটস (Kites)! আর আজকে দেখা শেষ করেছি একটি হলিউড
মুভি ওয়াটারহর্স (Waterhorse)
নীচে দুইটি মুভিরই রিভিউ লিখলামঃ
কাইটস (Kites):
প্রথম থেকেই ইচ্ছা ছিল মুভিটি দেখার। ওয়েট করে ছিলাম বহুদিন আগে থেকেই। রিলিজ হওয়ার সাথে সাথেই নেট থেকে নামিয়ে বসে গেলাম দেখতে ! ছবিটি শুরু হওয়াটিই চমৎকার! দুটি ঘুড়ি উড়ন্ত অবস্থায় দেখা হৃতিক খুব উপভোগ করে। কিন্তু দুটি ঘুড়ি কাছাকাছি আসলে একটিকে তো ছিড়ে পড়তেই হয়! । কাহিনীতে দেখা যায় হৃতিক একজন ড্যান্স টিচার। তাছাড়াও তার আরেকটি পেশা হল নকল বিয়ে করে অন্যকে গ্রীণ কার্ড পাইয়ে দেওয়া। হৃতিকের অদম্য ইচ্ছা সে ক্যাসিনো তে যেয়ে জুয়া খেলে বড়লোক হবে। ঘটনাক্রমে এক ক্যাসিনোর মালিকের মেয়ের সাথেই হৃতিকের লোকদেখানো ভালবাসার সৃষ্টি হয় (কিন্তু হৃতিক শুধু ভালবাসে মেয়েটির টাকা)! কিন্তু ঐ মেয়েরই ভায়ের সাথে এনগেজমেন্ট হয় নায়িকা বারবারা মোরির। এরপর বারবারা মোরির সাথে দেখা, সময় কাটানো ও দুজনের কিছু সুখ-দুঃখের ঘটনায় দুজনের মধ্যে সত্যিকারের ভালবাসার সৃষ্টি হয়! তারপর হৃতিক ও বারবারা দুজন মিলে পালিয়ে যায়। পালানোর পথেই ঘটে আসল ক্লাইম্যাক্স! না না এটা বলা যাবে না … বাকিটুকু নিজেরাই দেখে নিন! মুভিটির আইএমডিবি রেটিংও বেশ ভাল। 10 এ 5.7!
কাইটস ছবিটির পোস্টার
এক কথায় আমার কাছে ছবিটি চমৎকার লেগেছে। রেটিং দিব ১০ এ ৮।
এরপর আসা যাক ইংলিশ মুভি ওয়াটারহর্স প্রসঙ্গে!
ওয়াটারহর্স (Waterhorse):
Waterhorse ছবিটি এক কথায় দারুন এক মুভি। ডাইরেক্টর Jay Russell অসাধারণ নৈপুন্য দেখিয়েছেন তার এই মুভিটিতে। কাহিনীতে দেখা যায় ছোট্ট এক বালক Angus একদিন সাগরের পাড়ে একটি ডিম খুঁজে পাই। পরে তা থেকে ছোট্ট একটি প্রাণীর জন্ম হয়। প্রাণীটিকে Angus তার মায়া মমতা ও আদরে বড় করতে শুরু করে। কিন্তু এই Waterhorse এর দৈহিক বৃদ্ধির ক্ষমতা অনেক অনেক গুণ বেশী। ফলে ২-৩ দিনের মাথাতেই মোটামুটি বড় আকার লাভ করে। Angus প্রথম থেকেই একে লুকিয়ে লুকিয়ে পালন করত। কিন্তু একদিন তার বোন ও আরেকজন অতিথি দেখে ফেলে। কিন্তু তারা দুজনই এটি গোঁপন রাখে। কিছুদিনের মাথায় এটি এত বড় হয় যে Angus নিজের কাছে না রেখে তা সাগরে আবার ফেলে দিয়ে আসে। সেখানে যেয়ে এর বড় হওয়ার ক্ষমতা এতটা বৃদ্ধি পায় যে কিছুদিনের তা ডাইনোসরের আকার ধারণ করে। এই Waterhorse সম্পর্কে একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে যে একসাথে একটির বেশী Waterhorse পৃথিবীতে থাকতে পারে না।একটি Waterhorse মরার আগে একটিমাত্র ডিম পাড়ে এবং নিজেই মরে যায়। সুতরাং প্রতিটি ওয়াটারহর্সই এতিম হিসেবে জন্ম নেয়। কিন্তু একদল লোভী মানুষ এই Waterhorse কে ধরে মেরে ফেলার পিছনে লাগে … কিন্তু বিভিন্ন এডভেঞ্চার, একশন ও ওয়াটারহর্সের বুদ্ধির ফলে শেষ পর্যন্ত… (বাকিটা নীজেরাই দেখে নিন! ) আরেকটা কথা ..পুরো কাহিনীটাই বর্ণনা করে Angus (বৃদ্ধ বয়সে উপনীত হয়) নিজে নতুন ২জন কিশোর-কিশোরীকে!
(ওয়াটারহর্স ছবিটির পোস্টার)
ছবিটি এক কথায় অসাধারণ। ছবির মধ্যে অসাধারণ এক মায়া-মমতা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ছবিটির আইএমডিবি রেটিং 6.6
এই ছবিটিকে ব্যাক্তিগতভাবে রেটিং দিব ১০ এ ৯.৫! খুবই দারুন এক মুভি। বিশেষ করে ফিনিশিংটা অসাধারণ করেছে! ফিনিশিংয়ে একটা চমক আছে!
7 replies on “মুভি রিভিউঃ কাইটস & ওয়াটারহর্স”
সাইফ মেইলে ওয়াটারহর্স (Waterhorse) এর লিন্ক সে্ট কর ভাই। আমি মুভি টা দেখি নাই
The Water Horse তো অনেক আগের… আমি দেখেছিলাম। খুবই ভাল লেগেছিল।
WaterHorse তো AWESOME! কোন সন্দেহ নাই!
কাইটস দেখার ইচ্ছা আছে। একটু সময় পেলেই দেখতে বসবো।
আমি মনে হয় একটা কিছু মন্তুব্য করছিলাম… মন্তব্য গায়েব হয়ে গেছে কিন্তু…
পরবর্তীতে রনি পারভেজ মন্তব্য করায় সেটার নটিফিকেশন ইমেইল ঠিকই পেলাম।
ইমেইল এবং ওয়েবসাইট লিখতে গেলে বাঙলা আসেনা অনেক ভাল হয়েছে।
আপনারটাই তো ২য় মন্তব্য! দেখুন তো এটা লিখেছিলেন কিনা
এটাতো আপনারই আইডিয়া! তাই অফ করে দিয়েছি!
যদিও আমি ফেসবুক ভক্ত নই…তারপরও দরকার হয়। তাই ফেসবুকে ঢুকা যায় কিনা সেটা নিয়ে ব্রাউজারে একটু গুতাঁগুতি করেছিলাম।
এখন উবুন্টু দিয়ে দেখলাম মন্তব্য ঠিকই আছে।